গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
Advertisements

ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। রাজধানীর বড় বড় হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নেই অবস্থা। মিনিটে মিনিটে রোগী আসছে হাসপাতালে। হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। ইতিমধ্যেই ৬৪ জেলাতেই এখন ডেঙ্গুর থাবা লেগেছে। ঢাকার বাইরে গত কয়েকদিন রাজধানীর চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জুলাই মাসের ২৫ দিনে ১৫৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ হাজার ৭১০ জনে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০১ জনে।

এর মধ্যে নারী ১১৪ জন এবং পুরুষ ৮৭ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ২ হাজার ৪১৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৪১৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ১৬২ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২৫৬ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৪১৮ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯২৭ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৬৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ২৮১ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ২৩ হাজার ৯৯১ জন এবং নারী ১৩ হাজার ৬৯৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ হাজার ৫৬০ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ২৯ হাজার ৭১০ জন এবং মারা গেছেন ১৫৪ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।

Advertisements