টোটালএনার্জিস মিয়ানমার ত্যাগ করবে
Advertisements

ফ্রান্সের তেল কোম্পানী টোটালএনার্জিস শুক্রবার বলে যে, তারা মিয়ানমার থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলবে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, দেশটিতে “ক্রম অবনতিশীল ” মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলিকে, এর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।

কোম্পানীটি জানায়, “মানবাধিকার ও সাধারণভাবে আইনের শাসনের পরিস্থিতি, যা কিনা মিয়ানমারে খারাপ হয়েই চলেছে… আমাদের পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে এবং দেশটির অর্থনীতিতে যথেষ্ট ইতিবাচক অবদান রাখতে টোটালএনার্জিস-এর আর কোন অবকাশ নেই”।

আন্দামান সাগরে অবস্থিত ইয়াদানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ ছয়মাসের মধ্যে, টোটাল নিজেদের সরিয়ে নিবে। গ্যাসক্ষেত্রটি স্থানীয় বার্মার ও থাইল্যান্ডের স্থানীয় জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

কোম্পানীটি জানায় যে, গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করা ও সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ (এমওজিই) কে পরবর্তী পাওনা প্রদান বন্ধ করা ছাড়া, তারা সামরিক জান্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আর কোনও উপায় খুঁজে পাননি।

টোটাল এর মতে, ইয়াদানাতে উৎপাদিত গ্যাসের প্রায় ৩০%, এমওজিই-র কাছে দেশটির আভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য বিক্রি করা হয়। ঐ গ্যাস দিয়ে, দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের বিদ্যুতের অর্ধেক সরবরাহ করা হয়।

গত বছরের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, বেসামরিক নেতা অং সান সু চি-কে উৎখাতের পর থেকে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ ও নিষেধাজ্ঞা বেড়ে চলেছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, তার নেতৃবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে, এ সপ্তাহেই, নরওয়ের টেলিকম অপারেটর টেলিনর, মিয়ানমারের একটি ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবায় তাদের অংশটি বিক্রি করে দিয়েছে।

Advertisements