টঙ্গীতে আ’ লীগ নেতা হেলালের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
Advertisements

গাজীপুরের টঙ্গীর দক্ষিণ আউচপাড়া এলাকায় টঙ্গী পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এমএম হেলাল উদ্দিন ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড মধুমিতা এলাকায় টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএম নাসির উদ্দিনের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ।

গত শনিবার ভোর চারটার দিকে এঘটনা ঘটলেও বিষয়টি টঙ্গী পশ্চিম থানাকে অবহিত করা হয় সন্ধ্যায়। দুই নেতার বাসায় একই সময় দু’টি ঘটনায় খোদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টিকে ‘রহস্যজনক’ বলেই মনে করছেন।

ওই দুই নেতার বাসার সিসি টিভি ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জিএমপি পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ‘রহস্যজনক’ মনে করছে পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। উদ্ধার করা বিস্ফোরিত ককটেল পরীক্ষার জন্য সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

এমএম হেলাল উদ্দিন জানান, শনিবার ভোরে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে বাড়ির লোকজন আতংকে রয়েছে। অপরদিকে ওই বাসার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, ভোরে বাসার ভেতর খালি যায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের পর আলোকিত হয়ে উঠে।
একপর্যায়ে বাড়ির ভেতরে থাকা কয়েকটি কুকুর দ্বিগবিদ্বিক ছুটাছুটি করছে। তবে বাসা থেকে তাৎক্ষণিক কাউকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এমনকি বাসার নিরাপত্তাকর্মীকেও স্বাভাবিক দেখা গেছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর হামলার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়নি। ঘটনার অনেক পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই বাসাটি পরিদর্শন করে। এমনকি টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায় এমএম নাসির উদ্দিনের বাসায় হামলা ও গুলির ঘটনাও পুলিশ অনেক পরে জানতে পেরেছে। তবে এমএম নাসির উদ্দিনের বাসায় গুলির কথা বলা হলেও এধরনের কোনও আলামত পায়নি পুলিশ। এমএম নাসির উদ্দিনও থানায় জিডিতে গুলির কথা উল্লেখ করেননি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, কয়েকদিন ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পদবঞ্চিতরা ওই কমিটিকে ‘পকেট’ কমিটি আখ্যায়িত করে কমিটি বাতিল চেয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে কমিটি বাতিল চেয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক।

এর বিপক্ষে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান শনিবার কমিটির নতুন সদস্যদের আনন্দ মিছিল করার অনুমতি দেন। একই দিন পদ বঞ্চিতরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসুচী ঘোষনা করেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে উভয় পক্ষের মিছিল বাতিল করা হয়। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাসায় হামলা, ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ জানান, সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কেউ হামলার ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisements