ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাসে (জেরুজালেম) দুই ফিলিস্তিনির শাহাদাৎপিয়াসী হামলায় তিন ইহুদিবাদী ইসরাইলি নিহত এবং ছয় ইহুদিবাদী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ফিলিস্তিনের অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাসের অবৈধ উপশহর ‘রামুত’-এ দুই জন ফিলিস্তিনি একটি গাড়ি থেকে নেমে গুলি চালায়। এতে হতাহতের ঐ ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দুই ফিলিস্তিনি সংগ্রামীর একজনের হাতে ছিল এম-সিক্সটিন অ্যাসল্ট রাইফেল এবং অপর সংগ্রামীর হাতে ছিল একটি হ্যান্ডগান। ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুই ফিলিস্তিনিকে বহনকারী গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ পাওয়া গেছে। যে দুই ফিলিস্তিনি ঐ অভিযান চালিয়েছে তাদের একজন হলেন ৩৮ বছর বয়সী মুরাদ নিমর, আর অপরজন হলেন ৩০ বছর বয়সী ইব্রাহিম নিমর।
ইসরাইলি নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট বলছে, ইসরাইলি বাহিনী ঐ দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। নিহত দুই জনই হামাসের সদস্য। এর আগে তারা ইসরাইলে কারাবন্দী ছিলেন।
দখলদার বাহিনী ঐ ঘটনার পরপরই দুই শহীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
হামাসের দায়িত্ব স্বীকার
এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বায়তুল মুকাদ্দাসে শাহাদাৎপিয়াসী হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা আমাদের শহীদ যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, দখলদার ইহুদিবাদীদের নজিরবিহীন অপরাধের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।”
বিবৃতিতে যেসব অপরাধের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে হামাস উল্লেখ করেছে তার মধ্যে রয়েছে গাজা উপত্যকায় নৃশংস গণহত্যা, জেনিনে শিশু হত্যা, কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের অধিকার লঙ্ঘন এবং মসজিদুল আকসায় নামাজে বাধা দেওয়াসহ ঐ পবিত্র স্থানের অবমাননা।