চলতি এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এই হার নিয়ে সমালোচনামুখর হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেকরা। ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রানের রেকর্ড ব্যবধানের হার যেন মেনে নিতে পারছেন না পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদিও।
তার ওপর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা। সব কিছু অগ্রিম বুঝেও ভারতের বিপক্ষে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। বাবর টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সমালোচনার ঢেউ ওঠে।
পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার আফ্রিদিও সে রকমই ইঙ্গিত দিলেন। তবে এই অলরাউন্ডারের মতে, যদি পাকিস্তানের বোলাররা লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বোলিং করত, তা হলে ফলটা এমন নাও হতে পারত।
আফ্রিদি বলেন, ‘সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন— কেন পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? আমার মতে, পাকিস্তান যদি সঠিকভাবে বোলিং করত, যেমন নাসিম শাহ শুরু করেছিলেন।
কিন্তু ম্যাচে শাহিনের লাইন ও লেন্থ ঠিক ছিল না, যেখানে সে চেয়েছিল বোলিং করতে, এটা তার জন্য কাজ করেনি। প্রথম ওভারে শাহিন উইকেট না পেলে, এটি তার জন্য হতাশাজনক। কারণ তার খ্যাতি এমন, সে তাড়াতাড়ি উইকেট নিয়ে নেয়।’ ওই ম্যাচে প্রথম তিন ওভারেই ৩১ রান দিয়েছিল শাহিন।
শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ৭৯ রান। মেয়ে জামাইকে পরামর্শ দিয়ে আফ্রিদি জানান, শাহিনকে তার লাইন ও লেন্থের সঙ্গে ধারাবাহিক হতে হবে। এটা কোনো অজুহাত নয় যে, আপনি যদি এক বা দুই ওভারের জন্য ডেলিভারি করতে না পারেন এবং তার পরে আপনি নিজের ওপর রাগ করেন। আপনাকে সঠিক জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে।
প্রথম স্পেল ভালো না হলেও দ্বিতীয় স্পেলে এসেই শুভমান গিলের উইকেট নিয়েছিলেন শাহিন। ওই স্পেলে ভালোই বোলিং করেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। শ্বশুর আফ্রিদি অবশ্য সেটির প্রশংসাও করলেন, শাহিন যেভাবে তার দ্বিতীয় স্পেল শুরু করেছিল, তা যথেষ্ট ভালো ছিল। তাই তাকে সেই নির্দিষ্ট লাইন ও লেন্থের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। এটা বাধ্যতামূলক নয়, আপনি সবসময় উইকেট পাবেন। যদি সঠিক জায়গায় বল করেন, তা হলে আপনি একটি উইকেট পাবেন। উইকেট এবং নতুন বলে উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা সব সময়ই বেশি।