দেশে সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে একটি মহল
Advertisements

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা নগরীতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির জড়িত থাকার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস। কেন, কী স্বার্থে? কীসের জন্য? নির্বাচন হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নামে অংশগ্রহণ করে। টাকা-পয়সা যা পায়, পকেটে নিয়ে রেখে দেয়। ইলেকশনের দিন ইলেকশনও করে না। এজেন্টও দেওয়া হয় না। কিছুই করে না। মাঝপথে ইলেকশন বয়কটের নাম দিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এটার উদ্দেশ্যটা কী?’

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে উত্থাপিত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার গতকাল সমাপনী বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। এর আগে গত সোমবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে করোনা সামলাচ্ছি, অপরদিকে অর্থনীতির গতি যাতে সচল থাকে, তার ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে যা দরকার, আমরা মানুষের জীবনযাত্রা যাতে সচল থাকে, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
করোনা সংক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে এটাও আমরা মোকাবিলা করে চলেছি। করোনার মধ্যেই এলো ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা। এরইমধ্যে কোনও কথা নেই বার্তা নেই— হঠাৎ করে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস।’

তিনি বলেন, ‘করোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আজকে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে। টাকা-পয়সা দিয়ে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি। যেন যখনই চালু হবে আমরা এটা নিতে পারি। সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। যখন যা প্রয়োজন আমরা করে যাচ্ছি।’

এই বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে বাকশাল গঠনের প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা বর্ণনা করেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন সংসদে।

Advertisements