সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদকাসক্তের কথা যুক্ত হচ্ছে। সুশান্তের বান্ধবী নায়িকা রিয়া তার জন্য মাদকের ব্যবস্থা করতেন। এমনই কিছু বার বার উঠে আসছে। ফলে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এনসিবি বা মাদকবিষয়ক তদন্ত বিভাগ।
এর আগে সুশান্তর বাড়ির রাঁধুনি নীরজ দাবি করেছিলেন,গাঁজার নেশা ছিল সুশান্তের । তিনি মাঝে মধ্যে বানিয়েও দিতেন । সিবিআই সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদিকেও বেশ কয়েক দফায় জেরা করেছে বিভিন্ন তথ্যের জন্য।
শ্রুতি জানান, সুশান্ত ও রিয়া একসঙ্গে বসেই গাঁজা খেতেন। আরও জানান, দিনের অনেকটা সময় বাড়ির ছাদেই সময় কাটাতেন তারা। তাদের সঙ্গে যোগ দিতেন রিয়ার ভাই শৌভিক এবং বাড়ির ম্যানেজার স্যাসুয়েল মিরান্ড। আর এটা শুধু গাঁজাতে সীমাবদ্ধ থাকতো না, এর সঙ্গে যুক্ত হতো নানা ধরনের ড্রাগসও। আর বিভিন্ন এই ড্রাগস নিয়ে হাজির হতেন শৌভিক ও স্যামুয়েল ।
তবে মাত্র এক সপ্তাহ আগে একটি সাক্ষাৎকারে রিয়া জানিয়েছিলেন যে, তিনি কোনোদিন গাঁজা খাননি। শুধু গাঁজা কেন, কোনো ধরনের ড্রাগসের সঙ্গে তার পরিচয় নেই। কোনোদিন তিনি মাদক নেননি এবং তা প্রমাণে সব ধরনের রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত । রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডেও একই কথা বলেন, তার মক্কেল কোনোদিন মাদকদ্রব্য কী জিনিস, তা চোখেই দেখেননি।
অন্যদিকে ইডি এনসিবিকে জানিয়েছে,তারা গত এক বছর চার মাসে রিয়ার ফোনের সব মেসেজ দেখেছে। সেখানে ড্রাগ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যের সন্ধান পেয়েছে। কয়েকজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছেন রিয়া। তবে রিয়া বলেছেন অন্য কথা। সুশান্তের জন্যেই তাকে মাদকের খোঁজ করতে হয়েছিল । অন্যদিকে সুশান্তের বাবা কে কে সিং সুশান্তের মাদকাসক্ত হওয়ার দায় বিয়ার ওপর চাপিয়ে আসছেন।
১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় বলিউডের এই তরুণ নায়কের মরদেহ। যদিও প্রাথমিক ও চূড়ান্ত তদন্ত শেষে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, সুশান্তের অপমৃত্যু আত্মহত্যাই। কিন্তু সুশান্তের পরিবারসহ ভক্তরা এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ। এ মতে রয়েছেন বলিউডের অসংখ্যা তারকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও।
অন্যদিকে একের পর এক প্রেমে ব্যর্থতা, মাদক, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, নিন্মমুখী ক্যারিয়ার, পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা- এই সব কিছুই সুশান্তকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল বলে দাবি স্বয়ং রিয়ার।