সদ্য গত হওয়া জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই পরিমাণ আগের মাস জুনের তুলনায় প্রায় এক-চতুর্থাংশ কম। আর চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এলো এ মাসে।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে জুন মাসে ২৫১ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। জুনের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ২৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
গত বছরের জুলাইতে (২০২৩) ১৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এলেও ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই প্রবাসীরা ১২০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন, যা এক দিনের রেমিট্যান্স প্রবাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: মেজবাউল হক বলেন, জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের (২০২৪) প্রথম সাত মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে। এ মাসে ১৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
তথ্যানুযায়ী, গত মার্চে ১৯৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারি ও সাধারণ ছুটি মিলিয়ে গত ১৯ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা পাঁচ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ১০ দিন মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর সাথে বৈদেশিক লেনদেন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র : ইউএনবি