চুক্তি না মানলে তালেবানদের সাথে সমঝোতা নয়
Advertisements

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বিশ্বাস করে যে, গত বছরে করা চুক্তির শর্তগুলো তালেবান পূরণ না করলে তালেবানদের সাথে সমঝোতার উপায় দেখা কঠিন, কিন্তু ওয়াশিংটন সেই প্রচেষ্টায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত বৃহস্পতিবার ২৮ জানুয়ারি পেন্টাগন মুখপাত্র জন কার্বি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন,”সন্ত্রাসবাদ ত্যাগ এবং আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সহিংস হামলা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তাইলে সমঝোতার জন্য একটি নির্দিষ্ট উপায় দেখা খুবই কঠিন কিন্তু আমরা এখনো এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” আল-জাজিরা ।

তিনি আরো বলেন যে, আফগানিস্তান থেকে আরও সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বৃহস্পতিবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সাথে কথা বলেছেন। তিনি সকল আফগানদের সুবিধার্থে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা এবং সামরিক যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করেছেন। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইসের বরাতে আন্তর্জাতিক মিডিয়া একথা প্রকাশ করে।

ব্লিঙ্কেন ঘানিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি পর্যালোচনা করছে।

সেক্রেটারি এটাকে “শান্তির জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ” বলে অভিহিত করেছেন, কিন্তু তিনি বলেছেন যে “মানবাধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং নারীদের ভূমিকা” নিয়ে গত ২০ বছরে অগ্রগতি সংরক্ষণ করা উচিত।

তালেবানরা গত ফেব্রুয়ারিতে দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর পরপরই আফগান সরকারের সাথে আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু তালেবানরা কয়েক মাস ধরে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সহিংস হামলা বন্ধ করেনি।

ব্লিঙ্কেন বলেন, যে মার্কিন দূত এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন, তিনি তার ভূমিকায় থাকবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে হাজার হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই চুক্তিতে তালেবানরা আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে এবং কোন যোদ্ধা গোষ্ঠীকে তাদের মাটি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রআক্রমণ করতে দেবে না।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের একটি স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “২০২০ সাল পর্যন্ত আল-কায়েদা আফগানিস্তানে তালেবানদের অধীনে তাদের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, “আল-কায়েদা তালেবানদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখে, উপদেশ, দিক নির্দেশনা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য সংখ্যা ২,৫০০-এ নামিয়ে আনার আদেশ দেন, অফিস থেকে বের হওয়ার ঠিক আগে।

Advertisements