চলমান সংঘর্ষে অগ্রগতির দাবি করল আফগান সরকার ও তালেবান
Advertisements

আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে তালেবানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। তালেবান দেশটির কুনার প্রদেশের ‘নারি’ জেলা নতুন করে দখল করার দাবি করেছে। অন্যদিকে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে তালেবানের ‘ভয়াবহ’ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটার বার্তায় ঘোষণা করেছেন, তার গোষ্ঠীর সদস্যরা কুনার প্রদেশের নারি জেলাটি পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, জেলাটি তালেবানের দখলে আসার সময় ৮০ জন সরকারি সৈন্য তালেবানে যোগ দিয়েছেন। এ সময় বিপুল পরিমাণ সরকারি অস্ত্রসস্ত্র ও গোলাবারুদ ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে তালেবানের হস্তগত হয়েছে।

তালেবান মুখপাত্রের এ টুইটার বার্তার ব্যাপারে আফগান সরকার এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

তবে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর স্থল অভিযান ও বিমান হামলায় ১৭৫ তালেবান সদস্য নিহত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বল্‌খ প্রদেশে ৮১ জন, বাদাখশান প্রদেশে ১১ জন ও তাখার প্রদেশে ১৩ তালেবান সদস্য নিহত হয়েছে। তবে নিহত বাকি তালেবান সদস্যদের বিস্তারিত বিবরণ বিবৃতিতে দেয়া হয়নি।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক ঘোষণায় বলেছে, গত মঙ্গলবার ঈদুল আজহার নামাজের সময় আফগান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ লক্ষ্য করে রকেট হামলায় জড়িত সন্দেহে চার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে যাদের সবাই তালেবান সদস্য।মঙ্গলবার আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে যখন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ চত্বরের ঈদের নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল তখন রকেট হামলার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। বিস্ফোরণের শব্দে নামাজরত অনেক কর্মকর্তা কেঁপে ওঠেন। তবে রকেট হামলার ফলে নামাজের কোনো ক্ষতি হয়নি এবং কেউ হতাহত হয়নি।

এদিকে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালেবানের সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে দেশটির ৩১টি প্রদেশে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে। শুধুমাত্র কাবুল, নানগারহার ও পাঞ্চশির প্রদেশকে কারফিউর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

পার্সটুডে

Advertisements