গাজীপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে তুলে নিয়ে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মহানগর ডিবি পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) নূরে আলম।
গ্রেপ্তারের সময় ডাকাত দলের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, টাকা, ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আসাদুজ্জামান পলাশ (৪০), মো. অলিউর রহমান (৪০), মো. আ. হাকিম (৪০), রিপন আহাম্মেদ (৪০), মো. কামরুল ইসলাম (৩৬), মোহন চৌকিদার (৫২) ও বাচ্চু মিয়া (৪৫)। তাঁরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও গাজীপুরে ডাকাতি করতেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন কাজীবাড়ী এলাকার রিয়ামণি জুয়েলার্সের মালিকের মামাতো ভাই ও এক কর্মচারী দোকান বন্ধ করে প্রায় সাড়ে ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০৭ ভরি রূপার অলঙ্কার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথে কাজীবাড়ী মোড় এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত সাত-আটজন লোক একটি মাইক্রোবাসে এসে তাদের পথরোধ করে। এ সময় তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জুয়েলার্সের ওই দুজনকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে তাদের গাড়ির ভেতরে মারধর করে সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও রূপার অলংকারগুলো লুটে নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই দোকানের মালিক মো. ইয়াছিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আজ ভোর পর্যন্ত ঢাকার কেরানীগঞ্জ, শাহাবাগ ও পল্টন এলাকা থেকে ডাকাতদলের ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করে জিএমপির ডিবির সদস্যরা।
জিএমপির এ কর্মকর্তা দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা গাজীপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় নানা কৌশলে ডাকাতি করে আসছিল বলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।