অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের নির্দয় আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করতে মিশরের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তার আগে মঙ্গলবার থেকে টানা পাঁচদিনের ইসরাইলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি শহীদ ও দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন।
ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মুখপাত্র দাউদ শিহাব যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করে বলেছেন, “মিশর যুদ্ধবিরতির যে ঘোষণা দিয়েছে আমরা তা মেনে নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছি এবং যতদিন দখলদার ইসরাইল তা মেনে চলবে ততদিন আমরাও তা লঙ্ঘন করব না।”
গত পাঁচদিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ইসলামি জিহাদের ছয় কমান্ডার, তিন নারী ও ছয় শিশু রয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের ৫১টি বাড়ি সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে এবং প্রায় ১,০০০ বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আরো ৫০টি বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর জয়েন্ট অপারেশন্স রুমও যুদ্ধিবিরতি মেনে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এটি এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ কমান্ডারদের হত্যা করার ব্যাপারে তেল আবিবকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, “আমাদের তরবারি কোষবদ্ধ হয়নি বরং আমাদের আঙুল ট্রিগারে রয়েছে। যদি তোমরা ফিরে আসো তাহলে আমরাও ফিরে আসব।”
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো গত পাঁচদিনে ইসরাইলের বিভিন্ন শহর ও ইহুদি বসতি লক্ষ্য করে অসংখ্য রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরাইলি সেনারা জানিয়েছে, গাজা থেকে প্রায় ১,০০০ রকেট ছোড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিক্ষিপ্ত রকেট হামলায় ইসরাইলের রেহোভোত শহরে এক ইহুদিবাদী নিহত হয়।