ফিলিস্তিনি শহীদ
Advertisements

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও দখলদার সেনারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির খবরে গাজাবাসীর মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে, তারা রাস্তায় নেমে তা উদযাপন করে। তবে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ হয়নি। খান ইউনুস ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩০ জন শহীদ হয়েছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুস এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। গতকাল (বুধবার) একদিনেই ইসরাইলি হামলায় ৮২ ফিলিস্তিনি শহীদ হন। এদিকে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও দখলদার বাহিনীর হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা কার্যকর হবে আগামী রোববার, ১৯ জানুয়ারি থেকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এ চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই চুক্তির আওতায় গাজায় সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্তির পথও উন্মুক্ত হবে।

গাজার আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানান, যুদ্ধবিরতির খবর শোনার পর সেখানকার পরিস্থিতি বদলে যায়। মানুষ উল্লাসে মেতে ওঠে, কয়েক ঘণ্টা ধরে উদযাপন চলে। দীর্ঘদিনের যন্ত্রণা, শহীদদের বিদায় এবং আহতদের কষ্টে যে বিষণ্নতা বিরাজ করছিল, তা কিছু সময়ের জন্য হলেও উচ্ছ্বাসে রূপ নেয়।

যুদ্ধবিরতির খবরে পুরো গাজা উপত্যকার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁবুগুলোয় জড়ো হয়ে একসঙ্গে যুদ্ধবিরতির আনন্দ উদযাপন করেন।

Advertisements