মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তার স্ত্রীকেও হারাতে চলেছেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক রাজনৈতিক সহকারী ওমারোসা নিউম্যানের বরাত দিয়ে দৈনিকটি জানিয়েছে, এই দম্পতির ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষ হয়ে গেছে এবং মেলানিয়া ট্রাম্প তার স্বামীর ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রতিটি ক্ষণ গণনা করছেন যাতে তিনি তাকে ডিভোর্স দিতে পারেন।
ওমারোসা দাবি করেছেন, “ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যদি মেলানিয়া তাকে ছেড়ে যেতেন তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাম্প তাকে যেকোনো উপায়ে শাস্তি দিতে পারতেন।”
এর আগে মেলানিয়া ট্রাম্প একবার বলেছিলেন, ২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়লাভের খবর শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এবং তিনি কখনো আশা করেননি ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করবেন। প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক মাইকেল ওল্ফ তার ‘ফায়ার এন্ড ফিউরি’ বইতে দাবি করেছেন, মেলানিয়ার ওই চোখের পানি আনন্দাশ্রু ছিল না বরং তিনি একেবারেই হোয়াইট হাউজে যেতে বা ফার্স্ট লেডি হতে চাননি।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে যাওয়ার পর এই দম্পতির সন্তান ব্যারোনের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার অজুহাতে পাঁচ মাস পর মেলানিয়া নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে যান।
কিন্তু মেলানিয়ার সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা স্টেফানি ওলকফ দাবি করেছেন, ওই সময়টাতে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ-পরবর্তী সমঝোতা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেনদরবার করছিলেন এবং ব্যারোন যাতে ট্রাম্পের সম্পদের সমান উত্তরাধিকারী হতে পারে সেটি নিয়ে আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন। ওলকফ আরো দাবি করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার বিবাহ শুরু থেকেই ছিল ‘লেনদেনমূলক’ এবং হোয়াইট হাউজে তারা আলাদা বেডরুমে থাকতেন।
গত চার বছরে জনসমক্ষেও ট্রাম্প-মেলানিয়া সম্পর্কে শীতলতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কিন্তু ৫০ বছর বয়সি মেলানিয়া দাবি করতেন স্বামীর সঙ্গে তার ‘চমৎকার সম্পর্ক’ রয়েছে এবং ৭৪ বছর বয়সি ট্রাম্প দাবি করতেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার কখনো বাদানুবাদ হয়নি।
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাহ-পূর্ববর্তী এক সমঝোতার কারণে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা ম্যাপেলস ট্রাম্পের সমালোচনা করে কোনো বই লিখতে বা কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারেননি। আইনজীবী ক্রিস্টিনা প্রেভাইট মনে করছেন, ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়া হয়তো একই রকম বাধ্যবাধকতার কারণে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না।#
পার্সটুডে