কুয়েট অধ্যাপকের মৃত্যু
Advertisements

খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলী মোল্লা বুধবার (২৬ জানুয়ারি) খান জাহান আলী থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস।

তিনি জানান, তদন্তের পর এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শুকুর আলী মোল্লা।তিনি বলেন, “বুধবার সকালে আমরা খুলনায় গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে ওসি বলেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ চারজন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে। এ ছাড়া ৪০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম (৩৮) গত ৩০ নভেম্বর মারা যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, সাদমানের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ওই শিক্ষককে তার কার্যালয়ে আটকে রেখে ডিসেম্বর মাসের জন্য লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার হিসেবে তাদের পছন্দ মেনে নেওয়ার জন্য তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি মারা যান।তার সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, ওই সময় তাকে হয়রানি, অপমান ও হুমকি দেওয়া হয়।এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ১৩ ডিসেম্বর বন্ধ ঘোষণা এবং তা দুবার বাড়িয়ে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।

Advertisements