কিশোরগঞ্জে ছাত্রদল-পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ
Advertisements

কিশোরগঞ্জে ছাত্রদল ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ থেমে থেমে বেলা ২টা পর্যন্ত চলে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কেন্দ্রিয় বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছাড়াও গত রোববার বিএনপির দুটি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ জেলা শহরের রথখলা ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার কর্মসূচি ছিল। শহরের বয়লা এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল এবং শোলাকিয়া এলাকা থেকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আশফাকের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল পুরানথানা এলাকায় পৌঁছে। সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মিছিলে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর পাথর ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তত আনুমানিক ৫০০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। তিনি জানান, সংঘর্ষে সদর মডেল থানার পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনসহ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

অপরদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম জানান, পুলিশের রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া ও সহসভাপতি সাঈদ সুমন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি ফয়সাল হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রুবেল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন।

এদিকে টান টান উত্তেজনার মধ্যে রথখলা ময়দানে জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশের বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন ও শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম সমাবেশ পরিচালনা করেন।

Advertisements