কাপাসিয়ায় স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা
Advertisements

গাজীপুরের কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খান আ. হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম (৫০) বিএসসিকে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তিনি বারিষাব লালে সরকার বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।

গত রবিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বারিষাব-আমরাইদ সড়কের নূরার ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নূরুল ইসলামের ছোট ভাই আহসানউল্লাহ সরকার জানান, তার ভাই রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় বেলতলী বাজারের ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নূরার ব্রিজের পূর্ব পাশে এলে ৭-৮ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তার ভাইয়ের গতিরোধ করে এলোপাথারি মারপিট ও কোপাতে থাকে। এ সময় সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে তার ভাইয়ের কোমরের নিচের অংশ, ডান হাতের দুই জায়গা ও বাম হাতের এক জায়গার হাড় ভেঙে দেয়। পরে তারা ডান হাতের কব্জির রগ ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচের মাংস পেশি ও রগ কেটে দিয়ে তাকে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। এ সময় ওই সড়কের পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়।

তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে কয়েক ঘন্টা সময় নিয়ে তার অস্ত্রোপচার করা হলেও তিনি এখনও আশঙ্কা মুক্ত নন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বারিষাব লালে সরকার বাড়ি জামে মসজিদের সামনের মাঠ দিয়ে একটি ব্রিক সলিং রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে মারাত্মক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এক পক্ষ মোটা অংকের টাকা ব্যয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাস্তা নির্মাণ করলে পরের দিন বিক্ষুব্ধ কয়েক শ’ এলাকাবাসী সভাপতি নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে তা ভেঙে ফেলে। এ নিয়ে উভয় পক্ষ মারমুখী অবস্থায় ছিল। তাছাড়া তার কর্মরত বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গেও নূরুল ইসলাম বিএসসির প্রকাশ্য বিরোধ চলছিল। এ দুটি পক্ষের যৌথ অথবা যে কোনো এক পক্ষের আক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনি।

কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং মসজিদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের মাঝে বিরোধ চলছিল। আহত শিক্ষকের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisements