গাজীপুরের কাপাসিয়ায় তরগাঁও ইউনিয়নের তরগাঁও গ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাবা টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কাকরাইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। তরগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন মোশারফ হোসেনের বাসা ভাড়া নিয়ে গত দুই বছর ধরে তিনি বসবাস করে আসছেন।
গত বুধবার রাতে এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানায় ওই শিশুর মামা বাদী হয়ে মামলা করলে পিতাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কাকরাইল গ্রামের একজন সবজি বিক্রেতা কাপাসিয়ার তরগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন মোশারফ হোসেনের বাসা ভাড়া নিয়ে গত দুই বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। কাপাসিয়ার তরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার বড় মেয়েকে (১৩) তিনি গত পাঁচ মাস যাবৎ প্রায়ই ধর্ষণ করতেন বলে গুঞ্জন চলছিল।
গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে মেয়েকে স্কুলে যেতে না দিয়ে নির্জন ঘরে ধর্ষণ করেন এবং কাউকে এ বিষয়ে কিছু বলতে নিষেধ করেন। কিন্তু মেয়েকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখে তার মা ও মামারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার বাবা কতৃক ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করে।
তারগাঁও ইউপি ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আলতাফ হোসেন প্রধান খোকা জানান, শিশুটির পরিবার ও তার মামার পরিবার স্থানীয় মোশারফ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অভিযুক্ত সবজি বিক্রেতার দুটি মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, ওই শিশুর মামা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা ( নং ১৯/২৩.০৮.২৩) হয়েছে। শিশুর পিতাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার (আজ) আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।