কাপাসিয়ায় প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের
Advertisements

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিবন্ধী প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন ভুক্তভোগী নিজেই।

উপজেলার ৩নং টোক ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উলুসারা গ্ৰামের মো. মুনসুর আলী ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মামুন। মামুন অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার প্রতিবন্ধীর ভাতা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. শফিকুল ইসলাম কবিরের সহযোগিতায় তুলতে যাই। তিনি আমার প্রতিবন্ধী ভাতা তুলে আমাকে তিন হাজার টাকা দেয়। পরবর্তী সময়ে জানতে পারি যে আমি প্রতিবন্ধী ভাতা নয় হাজার টাকা পেয়েছি। মেম্বার এর কাছে আমার কাগজপত্র ও প্রতিবন্ধী কার্ডটি রয়েছে। তিনি (এমআইএস) করে দেয়ার কথা বলে আমরা কাছথেকে কাগজপত্র গুলি নিয়ে যায়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোন ভাতা আমি পাইনি। আমার নামে প্রতি মাসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভাতা আসার যে নাম্বারটি তা এখন কবির মেম্বারের কাছে।

মামুন বলেন, গত ১৩ নভেম্বর এলাকাতে মাইকিং হলে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিবন্ধী ভাতা তালিকায় আমার নাম ঠিকানা সবই আছে শুধু মোবাইল নাম্বারের জায়গায় কবি মেম্বারের মোবাইল নাম্বার লেখা আছে।

ভাতা আত্মসাৎ এর বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার মো. শফিকুল ইসলাম কবির মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ মিথ্যা, আমার নাম্বার সে নিজে দিয়েছে এবং টাকাও সে তুলে নেয়। তাদের ভাতার কার্ড দু’টি উপজেলায় জমা আছে।

এই বিষয়ে ৩নং টোক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই বিষয়টি আমি শুনেছি ওইদিন আমি ঢাকায় ছিলাম। উপজেলা থেকে লোকজন এসে যাচাই করে এ সত্যতা পেয়েছে। এই বিষয়ে বঞ্চিত ভাতা ভুগি একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলায়।

কাপাসিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, এমআইএস পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে ০১৬৮৪৫৯৬৮৪৭ নাম্বারটিতে ৬ ধাপে ২ দুই হাজার ২৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, আমি অত্র কার্যালয়ে সম্প্রতি যোগদান করার পর পরই প্রকৃত ভাতাভোগীর হাতে ভাতার অর্থ পৌঁছানো নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ভাতাভোগীর উপস্থিতির মাধ্যমে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরের সঠিকতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ভাতাভোগীর লাইভ ভেরিফিকেশনের সিদ্ধান্ত নেই। তারই ধারাবাহিকতায় টোক ইউনিয়নে লাইভ ভেরিফিকেশনের জন্য ১১ নভেম্বর মাইকিং করা হয় এবং ১৩ নভেম্বর রবিবার ১নং ওয়ার্ডের লাইভ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। অভিযোগকারী ওই দিন ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে এ সম্পর্কে জানতে পারে এবং একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisements