কাপাসিয়ায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা শুক্রবার বিকালে কাপাসিয়া থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘাগটিয়া ফকিরবাড়ির মৃত হাফিজউদ্দিনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজহারুল ইসলাম (৭২) গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঘাগটিয়া চালাবাজারে এক দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় একই গ্রামের মো. আলাল মিয়ার ছেলে ঘাগটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুব পেছন থেকে এসে আক্রমণ করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
তখন মাহবুব ও তার লোকজন তাকে কিল-ঘুসি মারতে থাকলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তার স্বজনরা তাকে পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
শুক্রবার বিকালে আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মাহবুবসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একই বিষয়ে শুক্রবার বিকালে আইনি সহযোগিতা চেয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন।
মাহবুব জানান, মারধরের ঘটনাটি বানোয়াট, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আজহারুল ইসলাম বিএনপি নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নানের চাচাতো ভাই। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি সরকার প্রতিষ্ঠার পরে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা ও ঘাগটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহু নেতাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দিয়েছিলেন।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।