এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা
Advertisements

বস্ত্র ও পোশাক পণ্য তৈরিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আশির দশকের শুরুতে যাত্রা করে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ। ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কাঁচপুরে বড় কারখানা কমপ্লেক্স গড়ে তুলেছিল গ্রুপটি। ৪৩ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা শিল্পোদ্যোগটি বস্ত্র ও পোশাক খাতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ উৎপাদন ক্ষেত্র হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই নগদ মূলধনের অভাব, ঋণ দায়, শ্রম অসন্তোষসহ নানামুখী সংকটে ভুগছিল কারখানা কমপ্লেক্সটি। কভিডের অভিঘাতে এ সংকট হয়ে উঠেছিল তীব্রতর। সম্প্রতি কারখানা কমপ্লেক্সটি স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ।

১৮ অক্টোবর ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের কাঁচপুর শাখার কারখানায় বন্ধের নোটিস দেয়া হয়। গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার বানিজ আলী (অব.) স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে ১৯ অক্টোবর থেকে স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধের ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়। পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ সভাপতিকে এ নোটিসের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার, শিল্প পুলিশ ও সোনারগাঁ থানা বরাবর এ অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

নোটিসে স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধের বিষয়টি গ্রুপের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিককে অবহিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ওপেক্স গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ২০১২ সাল থেকে কাঁচপুরের সব কারখানায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর পরও ঋণ ও জমিজমা বিক্রির মাধ্যমে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খরচ দিয়ে কারখানাটি চালু রাখা হচ্ছিল। কিন্তু করোনা অতিমারীতে অর্ডারের অভাব দেখা দেয়। আবার শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি নিম্নদক্ষতা ও সময়ে সময়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কারণে কারখানা খোলার সমস্ত পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় মালিকের আর্থিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে কারখানাগুলো চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না।

কারখানা চালিয়ে রাখার মতো আর্থিক সংগতি বা সামর্থ্য মালিকের নেই উল্লেখ করে নোটিসে বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে শিল্প ও শিল্পসংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ২৮(ক) ধারা অনুযায়ী ওপেক্স গ্রুপ, কাঁচপুর শাখার সব গার্মেন্ট ইউনিট ও ওয়াশিং প্লান্টসহ সংশ্লিষ্ট সব ইউনিট ১৯ অক্টোবর থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

নোটিসে আরো বলা হয়, আইনের ভিত্তিতে বেতনসহ বকেয়া বিভিন্ন পাওনাদি পরিশোধ করা হবে। সেক্ষেত্রে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর, বিজিএমইএ ও শ্রমিক প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং পাওনা পরিশোধ করা হবে। আলোচনার পর যত শিগগির সম্ভব পাওনা পরিশোধের তারিখ ও করণীয় সম্পর্কে নেয়া সিদ্ধান্ত নোটিস বা পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার (অব.) বানিজ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জুন থেকে কারখানায় অসন্তোষজনিত সমস্যা মোকাবেলা করে আসছিলাম। এ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় ক্রয়াদেশ থাকা সত্ত্বেও কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি। এখন শ্রমিকদের যাবতীয় পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

দেশের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম পথিকৃৎ উদ্যোক্তা আনিসুর রহমান সিনহা। ১৯৮৪ সালে ওপেক্স গ্রুপের মাধ্যমে পোশাক কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। পাশাপাশি সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের মাধ্যমে পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পেও বিনিয়োগ করেন তিনি। বিশাল এ শিল্প গ্রুপের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই পশ্চিমা ক্রেতাদের নজর কেড়েছিলেন আনিসুর রহমান সিনহা। একসময় ওপেক্স-সিনহা গ্রুপের সাব-কন্ট্রাক্ট বা ঠিকার কাজ করে অনেক শিল্পোদ্যোক্তা বড় হলেও পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠানটি নিজেই এখন ধুঁকছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানা বন্ধের নোটিসের ই-মেইল অনুলিপি পেলেও মুদ্রিত অনুলিপি এখনো পাওয়া যায়নি। তবে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। শ্রম অসন্তোষের বিষয়টি নিয়ে কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যার মধ্যে ছিল। মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে।

বন্ধের আগেও কাঁচপুরে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের ম্যানুফ্যাকচারিং কমপ্লেক্সের সব ইউনিট চালু ছিল না। একসময় ওই গ্রুপের কাঁচপুরের ইউনিটগুলোয় ৪৫ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করেছেন। বন্ধের সময় এ সংখ্যা ১৩-১৪ হাজারে নেমে এসেছে। গত তিন বছরে নানা সময়ে শ্রম অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়েছে গ্রুপটিকে। ছাঁটাই হয়েছেন পুরনো অনেক কর্মী।

অন্যদিকে নিয়মিত কর্মীদের বেতন বকেয়া পড়ার অভিযোগও উঠেছে একাধিকবার। কারখানা লে-অফের ঘটনাও ঘটেছে। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছিল গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর আবার চালু হলেও ১০ জুন থেকে আবারো অসন্তোষে বাধাগ্রস্ত হয় উৎপাদন কার্যক্রম। এছাড়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল। এ বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সিনহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, গ্যাস সংযোগের সমস্যা মিটিয়ে ফেলা গেছে। কারখানা সচল রাখার লক্ষ্যে ক্যাশ ক্যাপিটাল সংগ্রহ করতে হবে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বণিক বার্তায় ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কারখানা এখন নিবু নিবু করছে’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন তৈরির সময়েও আনিসুর রহমান সিনহার বক্তব্য নেয়া হয়েছিল। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, বিনিয়োগটা অনেক বেশি করে ফেলেছিলাম। তাতে অবকাঠামোটা খুব শক্তপোক্ত হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার মতো আমাদেরও ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারত, যদি কভিড এসে ধাক্কা না দিত। করোনা এসে অনেক কিছুকেই অনিশ্চিত করে তুলেছে। অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এ সময়টায় আমাদের টিকে থাকতে হবে।

খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কয়েক বছর ধরে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের কারখানায় প্রায়ই শ্রম অসন্তোষের সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। অনেক ক্ষেত্রে আইনে উল্লেখ না থাকলেও বিভিন্ন সুবিধা দিতে বাধ্য হয়েছেন আনিসুর রহমান সিনহা। এতে তার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। এখন আর তার পক্ষে এত বড় উৎপাদন সক্ষমতা পূর্ণরূপে সচল রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। এ সাম্রাজ্য এখন আনিসুর রহমান সিনহার জন্য বোঝায় পরিণত হয়েছে। এ বোঝা বহন করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কাজের নেশায় তিনি একের পর এক সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেগুলোই তার হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনোভাবেই বোঝামুক্ত হওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ব্যবসায়িক কার্যালয় খুলেছিলেন আনিসুর রহমান সিনহা। যুক্তরাজ্য, হংকং, চীন, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রেও আছে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইলের কার্যালয়। যুক্তরাজ্যে আছে ওপেক্স ফ্যাশন লিমিটেড নামের লিয়াজোঁ অফিস। ২০১০ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়। বিশ্বের সব নামকরা বড় ক্রেতার কাজগুলোর সমন্বয় ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই অফিসটি চালু করেছিলেন তিনি। সেখানে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে রয়েছেন তার একমাত্র সন্তান তানজিয়া সিনহা। বাংলাদেশসহ চীন ও ভারতের ১৪০টিরও বেশি কারখানাকে ওপেক্স ফ্যাশন ইউকের উৎপাদন ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার হয় বলে দাবি ওপেক্স ফ্যাশন ইউকের।

অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতাই ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গ্রুপের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিক সংগঠনের এক নেতা। তিনি বলেন, কাঁচপুরে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের ইউনিটগুলোর পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে হলে মাসে ন্যূনতম এক-দেড় কোটি পিস পোশাক তৈরির কাজ থাকতে হবে। তবে এ বড় বিনিয়োগ কোনো সমস্যা হতো না, যদি কাজ থাকত।

তিনি আরো বলেন, ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ অনেক আগে থেকেই সমস্যায় থাকলেও সেগুলো প্রকট হয় রানা প্লাজা ধস-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে। কারখানা মূল্যায়নে নিয়োজিত জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স অযাচিতভাবেই গ্রুপের কারখানা ইউনিটগুলোর ভবনে ত্রুটি নিয়ে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করে দেয়। আগে অনেক বড় ক্রেতা ওপেক্স অ্যান্ড সিনহায় কাজ দিত। অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের তাণ্ডবে তারা মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। বিপুল পরিমাণ ক্রয়াদেশ বাতিলের পাশাপাশি অনেক পণ্য মজুদ পড়ে থাকে তার কারখানায়।

বর্তমানে আনিসুর রহমান সিনহার ব্যবসা আরো কঠিন করে তুলেছে ঋণের দায়। রানা প্লাজা ধসের আগে তার বড় আকারের ব্যাংকঋণ ছিল না। কিন্তু রানা প্লাজা ধস-পরবর্তী সময়ে ব্যাংকে দেনা বেড়েছে তার। এখনো রফতানি আদেশ নেয়ার সক্ষমতা থাকলেও ব্যাংকের সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় শ্রেণীকৃত ঋণগুলো পুনর্গঠনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এ ব্যবসায়ী।

এছাড়া আনিসুর রহমান সিনহা একাধিকবার কারখানাটি বিক্রিরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ভারতের রিলায়েন্সসহ আরো কিছু কোম্পানি তা ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইও করেছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেনাসহ অনেক বড় অংকে বিনিয়োগ করতে হতো। আনিসুর রহমান সিনহাও তা কম দামে ছাড়তে চাননি। এ কারণে চেষ্টা করেও এত বড় প্রকল্পের ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গ্রুপের কাঁচপুরের কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনে চিঠি দেয়া হলে অবশ্যই আমরা আইন অনুযায়ী শ্রমিকের পাওনা মেটানোর ব্যবস্থা করব। এরপর স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগে সহযোগিতা করব। সম্প্রতি কারখানাটির সমস্যা নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়েও আলোচনা হয়েছে। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কারখানাটি বন্ধ হচ্ছে মূলত দুটি কারণে। একটি হলো অব্যবস্থাপনা, দ্বিতীয়টি শ্রমিকরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে আরো পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন। এ প্রত্যাশাকে উসকে দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। ফলে অনিয়ন্ত্রিত শ্রমিক দিয়ে কারখানা সচল রাখা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় কারখানাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিকপক্ষ। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মান্নান কচি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শ্রম আইনের ২৮(ক) ধারা অনুসরণ করে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এখন শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। এরই মধ্যে দুই মাসের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। পোশাক খাতের শুরুর সময়ে যাত্রা করা সফল ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান সিনহা দেশের অর্থনীতি গড়ায় অনেক ভূমিকা ও অবদান রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত বিরতিতে তার কারখানায় শ্রম অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্তটি আমাদের শিল্পের জন্য নেতিবাচক। তার পরও আইনের বিধান অনুযায়ী শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে চাইলে সে সুযোগ আছে, যা তিনি করেছেন। এখন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে।

সূত্রঃ বণিক বার্তা

Advertisements