ইহুদিবাদী ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলার শিকার গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবার সরাসরি একটি মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করেছে ইয়েমেন। দেশটির হুথি সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, মার্কিন জাহাজটির নাম ‘আমেরিকান জেঙ্কো পিকার্ডি’ এবং এডেন সাগরে এটির ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ‘কয়েকটি উপযুক্ত নৌ ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করে হামলাটি চালানো হয়েছে এবং হামলা ‘লক্ষ্যভেদ করেছে’ বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন।
জেনারেল সারি বলেন, “ইয়েমেনের আত্মরক্ষার স্বার্থে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে আরব সাগর ও লোহিত সাগরে সব ধরনের হুমকির উৎসে আঘাত হানতে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী দ্বিধা করবে না।”
এদিকে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী- সেন্টকম। এক বিবৃতিতে এটি বলেছে, বুধবার সানার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে নিক্ষিপ্ত একটি আত্মঘাতী ড্রোন এডেন সাগরে মার্কিন-মালিকানাধীন ‘জেঙ্কো পিকার্ডি’ জাহাজে আঘাত হেনেছে। হামলায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী মার্কিন-মালিকানাধীন বাল্ক জাহাজটির কোনো নাবিক হতাহত হয়নি- দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় জাহাজটির ‘কিছু ক্ষতি’ হলেও এটি সাগরে তার চলার গতি অব্যাহত রেখেছে।
ইয়েমেনের হামলার শিকার বাল্ক জাহাজটি নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জেঙ্কো শিপিং এন্ড ট্রেডিং লিমিটেডের বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী গত দু’মাস ধরে ইসরাইলি-মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দেশটি তাদের হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ইসরাইলের পাশাপাশি আমেরিকা ও ব্রিটেনের জাহাজগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।