সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আজ আবারো রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
বিজয়নগর দলীয় কার্যালয় থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। সেগুনবাগিচা, কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল হয়ে মিছিলটি নয়াপল্টনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পুলিশ মিছিলের গতিপথ আটকে দেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। পরে এবি পার্টির সিনিয়র নেতারা কর্মীদের শান্ত করে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে চলে যান। এরপর একদফার দাবিতে মিছিলটি পুরানা পল্টন ও পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় ও মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমূল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বক্তব্য দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বিরোধী দলের ওপর হামলা-মামলা করে এমনকি জানাজার নামাজেও হামলা চালিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে জনগণ নির্ভয়ে কোনো ভোট দিতে পারবে না। এখন এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেন জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কোনো জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বা সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এত ভীত হয় না। কিন্তু এই সরকার আজ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে চরমভাবে আতঙ্কিত। ভয়ভীতি ছড়িয়ে, হামলা মামলা করে, গুম ও খুনের মাধ্যমে তারা যে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, তা তারা পারেনি।
তারা দেখেছে, জনগণকে তারা যত ভয় দেখাচ্ছে মানুষ ততই সাহসী হচ্ছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তারা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। কিন্তু এটার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তনের যে সুযোগ, তা তারা হারিয়েছে। এখন তাদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন (রানা), এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইন, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক এম আমজাদ খান প্রমুখ।