ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প থেকে গোপনে সরে গেছে আমেরিকা। ভূমধ্যসাগর থেকে গ্যাস উত্তোলন করে ইসরাইল পাইপ লাইনের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
ইসরাইলের এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। তবে, এই প্রকল্প নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের ব্যাপক দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং দু’দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তুঙ্গে উটেছে। এ অবস্থায় আমেরিকা এই প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার জন্য গ্রিসের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়েছে। আমেরিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এ প্রকল্পের কারণে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা এবং অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এই প্রকল্পের জন্য তুরস্ক ও আঞ্চলিক কয়েকটি দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিয়েছে।
‘মিডিলইস্ট আই’ নামে একটি অনলাইন পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। গ্রিসের কাছে জমা দেয়া কাগজপত্রে আমেরিকা পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছে এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক দিয়েই প্রকল্প কতটা লাগসই হবে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে। এ অবস্থায় আমেরিকা এই প্রকল্পে থাকবে না বলে গ্রিসের কাছে জমা দেয়া কাগজপত্রে উল্লেখ করেছে মার্কিন সরকার।
২০২০ সালে গ্রিস, সাইপ্রাস এবং ইসরাইল একটি চুক্তিতে সই করে যার আওতায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরের তলদেশে ১৯০০ কিলোমিটারের একটি গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প নির্মাণ করা হবে। এই পাইপলাইন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দখলদার ইসরাইল ২০২৫ সাল নাগাদ প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে সরবরাহ করবে বলে পরিকল্পনা নিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল যে, এই পাইপলাইনের মাধ্যমে পতি বছর এক হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাস ইউরোপে রপ্তানি করা হবে।
পার্সটুডে