Demand to ban ISKCON
Advertisements

বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ- ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জুমার নামাজ শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার পক্ষ থেকে এ সমাবেশ করা হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।

মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হেফাজত ইসলামের ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাশেমী বলেন, ‘ইসকন সনাতনীদের কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়। ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন। ইসকন বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে। ইসকন ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের লালিত-পালিত জঙ্গি সংগঠন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের বলছি, আপনারা ইসকনের ফাঁদে পা দেবেন না। বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি, ইসকনের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। হাটহাজারীতে ইসকনরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের উচ্ছেদ করেছে। শুধু হাটহাজারী নয়, আরও অনেক জায়গায় হিন্দু ভাইদের জায়গা দখল করেছে এ ইসকনরা। এ ইসকনরা শুধু বাংলাদেশের শত্রু না, সারা বিশ্বের শত্রু।’

কামরুল ইসলাম কাশেমী বলেন, ‘হেফাজত ইসলামের দায়িত্ব হচ্ছে মুসলিম সমাজের কাছে তার করণীয় কী, তা অবগত করা। যখন কোনো মুমিন আক্রান্ত হয়, তার পাশে যদি অন্য মুমিনরা না দাঁড়ায়, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আহজাব আসে। আমরা সকলেই একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ কামনা করি। এ দায় থেকে হেফাজত ইসলাম আজ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেছে।’

হেফাজতের এ নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেটাকে ধরে রাখতে হবে। কোনো কারণে, কোনো উসকানিতে তা যেন বিনষ্ট না হয়। এখানে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ভেতর থেকে, বাইর থেকে। আমাদের একতাকে যেন নষ্ট করা যায়।’

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি আন্দরকিল্লা মোড় থেকে নগরীর চেরাগী মোড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিল থেকে ‘বাংলাদেশে ইসকন, নিষিদ্ধ কর করতে হবে’, ‘ইসকনের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘ইসকন ইসকন করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’— এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

Advertisements