ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেকে হত্যার বিষয়টি ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করে থাকতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক সংবাদিক প্যাট্রিক লরেন্স ইরানের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন।
গত শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে ফাখরিজাদেকে গুপ্ত ঘাতকেরা বোমা হামলা ও গুলি চালিয়ে শহীদ করে। দুই বছর আগে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে একটি প্রেজেন্টেশন দিতে গিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বার বার নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, “স্মরণ রাখবেন নামটি হচ্ছে- ফাকরিজাদে।”
ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার পর পরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইসরাইলের জড়িত থাকার মারাত্মক ইঙ্গিত রয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকার দুইজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন যে, এই হত্যার পেছনে ইসরাইল জড়িত। আমেরিকার একজন বেসামরিক কর্মকর্তা একই কথা বলেছেন নিউইয়র্ক টাইমসকে।
এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমেরিকার সাংবাদিক লরেন্স বলেন, “প্রথম কথা হচ্ছে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করা প্রয়োজন যে, এই ঘটনা ঘটার আগে মার্কিন প্রশাসন জানতো কিনা। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তিনি সম্প্রতি নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খুব সম্ভবত তিনি ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। পম্পেওর পরিকল্পনার সাথে সহিংসতায় উস্কানির ঘটনা মিলে যায়, একইভাবে মিলে যায় নেতানিয়াহুর সঙ্গেও।”
সাংবাদিক লরেন্স বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের কারণে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরুর বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে আটকে দেয়। তিনি আরো বলেন, আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন বাইডেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা তাহলে আমি বলব এ ব্যাপারে তার সাহসের সাথে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
পার্সটুডে