সিরিয়ায় অবৈধভাবে স্থাপিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে রকেট হামলা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে ইরাক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অবস্থানে বিমান হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি আক্রান্ত হলো।
সোমবার রাতে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আজ-জোর প্রদেশে এ রকেট হামলা হয় বলে নিজস্ব ‘কয়েকটি সূত্রের’ বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এসডিএফ নিয়ন্ত্রিত ‘ওমর’ গ্যাসক্ষেত্রের কাছে এ রকেট হামলা হয়েছে।
সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওয়াইন মরোট্টো জানিয়েছেন, “সোমবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৮টায় সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর ওপর কয়েক দফা রকেট হামলা হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।” হামলায় সম্ভাব্য অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সিরিয়া সরকারের অনুমতি বা জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই দেশটিতে অবৈধভাবে মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার জন্য ইরাকি পার্লামেন্টে আইন পাস হওয়া সত্ত্বেও জোর করে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা।
এর আগে রোববার মার্কিন যুদ্ধবিমান থেকে ইরাক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী তিনটি স্থানে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অবস্থানে বোমাবর্ষণ করা হয়। পেন্টাগন দাবি করছে, এসব অবস্থান থেকে মার্কিন স্বার্থ-বিরোধী ড্রোন হামলা পরিচালনা করা হয়।
ইরাকের সাবেরিন নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, ইরাকের জনপ্রিয় আধাসামরিক বাহিনী হাশদ আশ-শাবির ফোর্টিন্থ ব্রিগেডের সদর দপ্তরে রোববারের মার্কিন বিমান হামলায় চার ইরাকি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলার প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছিল হাশদ আশ-শাবি। এছাড়া ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাজেমি মার্কিন বিমান হামলাকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
পার্সটুডে