আফগানিস্তান সীমান্তে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তালেবানের হুঁশিয়ারি
Advertisements

আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব মুজাহিদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগ্রাসন চালানোর অধিকার কারো নেই। তিনি রোববার প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় আরো বলেছেন, “আফগানিস্তান এমন একটি অত্যাধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলবে যেখানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি একটি শক্তিশালী বিমানবাহিনী থাকবে।”

গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ বা রক্তপাত ছাড়াই গোটা আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। এর ফলে গত দুই দশকে আমেরিকা ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট- ন্যাটো আফগানিস্তানে যত সমরাস্ত্র এনেছিল এবং আফগান সামরিক বাহিনীকে যত প্রশিক্ষণ দিয়েছিল তার সব তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

তালেবান প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার অডিও বার্তায় আরো বলেন, “ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রাধিকার-ভিত্তিক দায়িত্ব হচ্ছে দেশের সীমান্ত ও ভূমি রক্ষা করা। আফগানিস্তানের সীমান্ত বা এদেশের সীমারেখায় আগ্রাসন চালানোর অধিকার কারো নেই। আমরা সেরকম অনুমতি কাউকে দেব না।”

তাজিকিস্তানে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর ছয় দিনব্যাপী সামরিক মহড়ার শেষদিনে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রকাশিত হলো।

আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে অনুষ্ঠিত ওই মহড়ায় রাশিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান ও তাজিকিস্তানের প্রায় পাঁচ হাজার সেনা অংশ নেয় যাদের অর্ধেকই ছিল রাশিয়ার সৈন্য। তবে মোল্লা ইয়াকুব তার অডিও বার্তায় এই মহড়ার প্রতি কোনো ইঙ্গিত করেননি।

১৯৯০ এর দশকে তালেবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মাদ ওমরের ছেলে ইয়াকুব মুজাহিদ তালেবানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক ব্যক্তিত্ব। তিনি কোনো দেশ বা প্রতিপক্ষের নাম উল্লেখ না করে বলেন, আফগানিস্তানে কেউ আগ্রাসন চালালে তালেবান কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবে। তিনি বলেন, “ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গোটা বিশ্ব এবং প্রতিবেশেী দেশগুলোর কাছে সুস্পষ্টভাবে এই বার্তা পাঠাতে চায় যে, আফগানিস্তান তাদের কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, কেউ আগ্রাসন চালালে আমরা গালে হাত দিয়ে বসে থাকব।”

পার্সটুডে

Advertisements