রানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন সেনা উপস্থিতি এঅঞ্চলে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বরং নিত্যনতুন সমস্যা ও সংকট তৈরি করবে। ইরান সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হবে দেশটির ইতিহাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। দখলদার সেনারা চলে গেলে আফগানিস্তানের সকল পক্ষ ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলো তাদের দেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে।
রায়িসি বলেন, “আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলে মার্কিন সেনারা যে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তা এখন সকলের কাছে স্পষ্ট। কাজেই আফগানিস্তানে যাতে সকল পক্ষের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সহযোগিতার মনোভাবসম্পন্ন সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে সেজন্য ইরান ও পাকিস্তানসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।” তিনি বলেন, বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়ই আঞ্চলিক দেশগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কাজে সবরকম সহযোগিতা করতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে।
সাক্ষাতে ইরান ও পাকিস্তানের সম্পর্ককে ‘ঐতিহাসিক ও গভীর’ বলে উল্লেখ করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বেশিরভাগ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ইরান ও পাকিস্তান অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। তিনি আফগানিস্তান সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাতে ইরানের প্রেসিডেন্টকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণপত্র প্রেসিডেন্ট রায়িসির হাতে তুলে দেন শাহ মেহমুদ কোরেশি।
পার্সটুডে