গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে আশরাফুল ইসলাম নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী আজিজুল হক। এ সময় স্ত্রীকেও কুপিয়ে আহত করেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া চন্নাপাড়া এলাকার আজিজুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আজিজুল পলাতক রয়েছেন।
নিহত আশরাফুল গাজীপুরের এস এস ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানার মালিক। কারখানার পাশেই ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার আসরোয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। আর তাসলিমা আক্তার ওই কারখানার শ্রমিক। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কাঠমিস্ত্রি আজিজুল হক চন্নাপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। ওই বাড়িতে স্ত্রী তাসলিমাকে নিয়ে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, কারখানার মালিক আশরাফুলের সঙ্গে শ্রমিক তাসলিমার পরকীয়া চলছিল। সোমবার দুপুরে আজিজুল হক ঘরে ফিরে তার স্ত্রীকে আশরাফুলের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় দেখতে পান। তখন ঘরে থাকা বটি দিয়ে আশরাফুলকে এলোপাতাড়ি কোপান আজিজুল। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এ সময় তার স্ত্রীকেও এলোপাতাড়ি কোপান তিনি। আশরাফুল ও তাসলিমার চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে আসার আগেই আজিজুল পালিয়ে যায়।
গ্রামের লোকজন জানান, তারা সেখানে গিয়ে আশরাফুলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। মুমূর্ষু অবস্থায় তাসলিমাকে উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহত আশরাফুলের ইসলামের শ্যালক আশরাফুল আলম দাবি করেন, ‘এটা পরকীয়ার কোনো বিষয় ছিল না। হারুন নামে একজন আমার ভগ্নিপতিকে এখানে নিয়ে এসেছিল। ঘটনার পর থেকে হারুনও পলাতক।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, আশরাফুলের গলাসহ শরীরজুড়ে গুরুতর জখম রয়েছে। তার অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গের বেশির ভাগ অংশই কাটা ছিল। আহত তাসলিমা গলার অনেকটা অংশই কাটা, শরীরে একাধিক গুরুতর জখম রয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি পরকীয়া বলে জানা গেছে। তবে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা হবে। ঘটনার পর থেকে আজিজুল পলাতক।