আনুশকাহকে অপহরণ
Advertisements

রাজধানীর কলাবাগানের মাস্টারমাইন্ডের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিনের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, দিহান ও তার সঙ্গীরা আনুশকাহকে অপহরণ করে বাসায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

শাহনূরে আমিন বলেন, আমার নিষ্পাপ মেয়ের চরিত্র হননের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা প্রচারণাকারীদের সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি দিহান ও তার সঙ্গীরা আমার মেয়েকে অপহরণ করে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে।

শাহনূরে আমিন বলেন, দিহান ফোন দিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর হাসপাতালে গেলে দিহান পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে বলে, ‘আন্টি আমাকে বাঁচান। ’তখন সে আরো বলে, ‘আমরা চারজনই তাকে বাসায় নিয়ে যাই।

তিনি আরো দাবি করেন, আমার মেয়ে ফাঁকা বাসায় একা যাওয়ার কথা না।

আনুশকার মা বলেন, মামলায় আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আমরা অপহরণ মামলা করতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ সেটা করতে দেয়নি। উল্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার মেয়ের চরিত্রকে হনন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, দিহানের সঙ্গে আনুশকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ তথ্য মোটেও সঠিক নয়। দিহানের সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় ছিল না।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে শিক্ষার্থী আনুশকার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গে নেয়া হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণ ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা যায়। পরে নিহত ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর পরই দিহানকে গ্রেফতার করা হয় । পরে দিহান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Advertisements