এসআই আকবরকে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন সিনিয়র এক অফিসার
Advertisements

সিলেটে বহুল আলোচিত রায়হান হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামী পুলিশের এসআই আকবর ধরা পড়েছে।
সোমবার সকালে সিলেটের কানাইঘাটের ইন্ডিয়া সীমান্তে ডোনা এলাকায় খাসিয়াদের হাতে ধরা পড়ে আকবর। আকবরকে ধরার পর স্থানীয়দের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় স্থানীয় খাসিয়ারা আকবরের পালিয়ে বেড়ানোর কারন জানতে চায়। জবাবে আবকব বলেন-এক সিনিয়র কর্মকর্তার নির্দেশে পালিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এই ভিডিওতে আকবরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সিলেটে সিনিয়র পুলিশ অফিসাররাই তাঁকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। আকবর নিজেই বলতেছেন, একজন সিনিয়র তাঁকে বলেছে আপাতত চলে যাওয়ার জন্য্ দুই মাস পর পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাবে। তারপর ঠিক হয়ে যাবে। ধারণ করা ভিডিওতে বলতে শোনা যায়,-‘আমাকে এক সিনিয়র অফিসার বলছিলো, তুমি আপাতত চলে যাও। কয়েক দিন পর আইসো। দুই মাস পরে মোটামুটি পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাবে। এ কারণে আমি চলে যাই।’

ভিডিও দেখতে  ক্লিক করুন

গ্রেপ্তারের পর আকবর দাবি করে- রায়হানকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক করা হয়েছিলো। তাকে কাস্টঘর এলাকার লোকজন গণপিঠুনি দেয়। কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তের খাসিয়াদের জেরার মুখে কেনো পালিয়েছিলো প্রশ্নের জবাবে সে জানায়- সাসপেন্ড করছে, এরেস্ট করতে পারে। এ কারণে পালিয়েছিলাম। কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের মাঝের গাওয়ের ওদিকে ভারতে পালিয়েছিলো বলে জানায় আকবর।

ওখানে তার এক পরিচিত পরিবার রয়েছে বলে দাবি করে সে। উল্লেখ্য রায়হান নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় আকবর ও তাঁর সযোগিরা। সেখানে নিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবী করা হয় তাঁর কাছে। এই দশ হাজার টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় রায়হানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে রায়্হান নিহত হয়েছেন বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সিসি টিভির ফুটেজে এমন কোন ছিনতাই বা গণপিটুনির ঘটনা সেদিন কোথায়ও ধরা পড়েনি। সিসি টিভির পরীক্ষায় এরকম কিছু পাওয়া যায়নি তদন্তে।

Advertisements