![বেপরোয়া গতির অটোরিকশা চাপায় শিক্ষার্থী নিহত, গণধোলাইয়ের পর মীমাংসা বেপরোয়া গতির অটোরিকশা চাপায় শিক্ষার্থী নিহত](https://i0.wp.com/bhawalbarta.com/wp-content/uploads/2023/09/বেপরোয়া-গতির-অটোরিকশা-চাপায়-শিক্ষার্থী-নিহত.jpg?fit=900%2C489&ssl=1)
গাজীপুরের শ্রীপুরে বেপরোয়া গতির অটোরিকশাচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা অটোচালককে গণধোলাই দেয়, পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ৬০ হাজার টাকায় রফাদফা করা হয়।
গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় বরমী আঞ্চলিক সড়কের আরবেলা ফ্যাশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সমঝোতায় মিলাদের জন্য ৬০ হাজার টাকায় মীমাংসা করা হয়।
নিহত সুমাইয়া (৮) উপজেলার গাড়ারন গ্রামের আকরাম হোসেনের সন্তান। গাড়ারন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সাথে কথা বলে জানা যায়, শিশুটি একজন নারীর হাত ধরে রাস্তার পাশ দিয়ে দোকানের দিকে আসছিল। হঠাৎ করে একটি বেপরোয়া গতির অটোরিশকা তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় অটোরিকশায় থাকা আরও তিন যাত্রী আহত হয়েছে। স্থানীয়রা অটোচালক আনোয়ারকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরে স্থানীয় কামাল হোসেনের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকায় বিষয়টি রফাদফা হলে পুলিশ আনোয়ারকে ছেড়ে দেয়। অভিযুক্ত আনোয়ার বরমী ইউনিয়নের দুর্লভপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত বকুল মিয়ার সন্তান।
বরমী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, এরা গরীব মানুষ মামলা করে লাভ কি? ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি। এখন দুই পক্ষ থেকে থানায় আপোষ নামা জমা দিবে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক অমল চন্দ্র সরকার বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটা সামাজিক ভাবে আপোষ মীমাংসা হয়ে গেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।