![দেশে এক বছরে ২৪২ কন্যাশিশু আত্মহত্যা ও ১,১১৭ জন ধর্ষণের শিকার: গবেষণা দেশে এক বছরে ২৪২ কন্যাশিশু আত্মহত্যা](https://i0.wp.com/bhawalbarta.com/wp-content/uploads/2022/03/দেশে-এক-বছরে-২৪২-কন্যাশিশু-আত্মহত্যা.jpg?fit=900%2C489&ssl=1)
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম জানিয়েছে, গত ২০২১ সালে বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে ৫২টি কন্যাশিশু।
এ ছাড়া, ২০২১ সালে ১ হাজার ১১৭ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭২৩ জন একক ও ১৫৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৫ জন কন্যাশিশুকে। অনুরূপভাবে, গত বছর ১১৬ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১০৪ জন।
২০২১ সালে বাংলাদেশের কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।
তবে পত্রিকায় যেসব খবর ছাপা হয়েছে, প্রতিবেদনে শুধু সেসব তথ্যই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংখ্যা প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ২ হাজার ৮৬৮ জন কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। গত বছর ২৪২ জন কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়ে ৬১ জন ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ৫৬ জন আত্মহত্যা করেছে। ২০২১ সালে ২৭২ জন কন্যাশিশু পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনসহ নানা কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, এসব অপকর্ম যারা করে, তারা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের অনেকে থানা-পুলিশ পর্যন্ত যেতে চান না। করোনাকালে বাল্যবিবাহ, নারী-শিশু নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়েছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গুডনেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাঈনুদ্দিন মাইনুল ও কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স-এডুকো বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন গোলাম কিবরিয়া।