![ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে প্রথম আমদানি ক্রয়াদেশ ইরানের ক্রিপ্টো কারেন্সির প্রধান কার্যালয় দুবাইয়ে](https://i0.wp.com/bhawalbarta.com/wp-content/uploads/2022/03/ক্রিপ্টো-কারেন্সির-প্রধান-কার্যালয়-দুবাইয়ে.jpg?fit=900%2C489&ssl=1)
ইরান চলতি সপ্তাহে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো সরকারি আমদানি ক্রয়াদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার আধা-সরকারি তাসনিম অ্যাজেন্সি এ তথ্য জানায়। এর ফলে দেশটি মার্কিন অবরোধ পাশ কাটিয়ে তার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই ক্রয়াদেশটির মূল্য ১০ মিলিয়ন ডলারের ছিল বলে জানা গেছে। ডলারের আধিপত্যপূর্ণ বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বাণিজ্য করার এটাই ইরানের প্রথম প্রয়াস। তারা এর মাধ্যমে রাশিয়ার মতো অন্য যেসব দেশ মার্কিন অবরোধের মুখে পড়েছে, তাদের সাথে বাণিজ্য করতে পারবে। তবে লেনদেনে ঠিক কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি।
ইরানের শিল্প, খনিজ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা টুইটারে বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ নির্দিষ্ট দেশগুলোর সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও স্মার্ট চুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র প্রায় পুরো মাত্রায় অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে ইরানের ওপর। এমনকি তেল, ব্যাংকিং ও শিপিং সেক্টরও বাদ যায়নি অবরোধ থেকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করার মাধ্যমে অর্থনীতির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ এড়ানো সম্ভব হয়।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত বছর সকল বিটকয়েনের ৪.৫ ভাগ মাইনিং হয়েছে ইরানে। এর অন্যতম কারণ হলো দেশটির সস্তা বিদ্যুৎ। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে পণ্যসম্ভার আমদানি করা যাবে। এর ফলে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব শিথিল হয়ে পড়বে।
তবে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য খুব বেশি মাত্রায় ওঠানামা করে। ফলে বড় ধরনের মূল্য পরিশোধে এগুলোর ব্যবহার কার্যত অসম্ভব।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সোমবার জানিয়েছে, তারা ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তিটি পুনঃজীবিত করার জন্য ‘চূড়ান্ত’ টেক্সট উপস্থাপন করেছে। ভিয়েনায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার চার দিন পর তারা এ ঘোষণা দেয়।
ওই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ানি ইউনিয়ন ও জাতিসঙ্ঘ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করে। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তিটি বাতিল করে দিয়ে ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে।
বিশ্বের অন্যতম গরিব দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (সিএআর) ক্রিপ্টো গ্রহণ করেছে। গত এপ্রিলে তারা বিটকয়েনকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত মাসে তারা নিজস্ব ডিজিটাল কয়েনও বাজারে ছেড়েছে।
গত বছর আল স্যালভাডোরও বিটকয়েনকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর